মেথি কি | মেথির উপকারিতা

মেথি কি | মেথির উপকারিতা

আসসালামুয়ালাইকুম প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই মেথি কি এবং মেথির সব উপকারিতা সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি গুগলে সার্চ করে ওপেন করেছেন। এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়লে আপনারা মেথি কি এবং মেথির সকল উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।

মেথি কি এ বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত নই আবার আমরা অনেকেই আছি যারা মেথির উপকারিতা গুলো সম্পর্কে জানতে চাই। আমাদের এই পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো তাহলেই মেথি নিয়ে আপনি সবকিছু জেনে যাবেন। 

ভূমিকা: মেথি কি

মেথি হচ্ছে এক ধরনের ঔষধি গুণাবলী সম্পন্ন উদ্ভিদ বা গাছ। এগুলো সাধারণত চাষ করা হয়ে থাকে। মেথি গাছ আকারে সাধারণত দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। প্রতিটি শাখায় তিনটি করে পাতা একসাথে থাকে। গাছে মাঝখানে যে ফুল ফোটে তার মধ্যে যে বীজ হয়ে তাকে মেথি বীজ বলা হয়। মেথি গাছ এবং মেথি বীজ ঔষধি গুণসম্পন্ন হওয়ায় অনেকেই বিভিন্ন ধরনের কাজে এগুলোকে ব্যবহার করে। মেথি বীজকেই সাধারণত বেশি ব্যাবহার করা হয়। তবে মেথি গাছ শাক হিসাবেও রান্না করে খাওয়া যায়। 

মেথি বীজে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামিনো এসিড, ফলিক এসিড এবং অন্যান্য উপাদান থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মেথি বীজকে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মেথি বীজ থেকে মেথির তেলও উৎপাদন করা হয়। মেথি বীজ মানুষের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতে পারে, এছাড়াও হৃদরোগ প্রতিরোধ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, শরীরে ওজনের ভারসাম্য রক্ষা ইত্যাদি অনেক কাজ সম্পাদন করে। এছাড়াও মেথি বীজকে মেয়েরা নিজেদের ত্বকের যত্ন, চুলের যত্ন ইত্যাদি কাজে বেশি ব্যবহার করে থাকে।

মেথির উপকারিতা

মেথির যেহেতু ঔষধি গুণাবলী রয়েছে তাই এর উপকারিতা বলে শেষ করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়েরাই মেথিকে তাদের রূপচর্চা এবং চুলের যত্নে ব্যবহার করে থাকে। তবে শুধু রূপচর্চা ছাড়াও মেথির কিছু অভাবনীয় স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে তা আমাদের এই পোস্টটি পড়লে বুঝতে পারবেন। মেথি বীজে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে থাকে প্রোটিন। সাধারণত প্রতি ১০০ গ্রাম মেথি বীজে ২৩ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রোটিন আমাদের দেহ গঠনের অন্যতম উপাদান। মেথিতে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন থাকায় এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও মেথির মধ্যে আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য যে সকল উপকারী খনিজ রয়েছে তা হলো অ্যামিনো এসিড, বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, সোডিয়াম, জিংক ইত্যাদি। মেথির বেশ কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলো: 

  • মেথি হজমে সাহায্য করে
  • কোলেস্টেরল কমায়
  • রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
  • শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে
  • মাতৃদুগ্ধ উৎপাদন বৃদ্ধি করে
  • ওজন কমাতে সাহায্য করে 
  • ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখে
  • টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ায়
  • মানসিক অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে ইত্যাদি।
  • আমাদের এই পুরো পোস্ট জুড়ে আজকে মেথির বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

মেথি চিবিয়ে খাওয়ার উপকারিতা

মেথি বীজ সবার কাছে পরিচিত। এই এগুলো বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। অনেকে জানতে চান মেথি চিবিয়ে খাওয়ার কি উপকারিতা রয়েছে। মেথির স্বাদ  সাধারণত হালকা তেতো ধরনের। মেথি চিবিয়ে খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে। মুখের দাঁতের জন্য মেথি বীজ চিবিয়ে খাওয়া একটি ভালো উপায় হতে পারে। মেথি বীজে থাকে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ। মেথি চিবিয়ে খেলে দাঁতের দুর্গন্ধ দূর হয়। এটি অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে যা দাঁতের স্বাস্থ্য উন্নত করে। এছাড়া প্রতিদিন খালি পেটে মেথি চিবিয়ে খেলে শরীরে থাকা বিভিন্ন রোগ জীবাণু মারা যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং রক্তের মধ্যে চর্বির মাত্রা কমিয়ে আনে। মেথি বীজে আছে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। মেথি চিবিয়ে খেলে এর রস এবং বিভিন্ন তন্তু পেটে প্রবেশ করে। যা পাকস্থলীতে থাকা বিভিন্ন কৃমি ধ্বংস করে। এছাড়াও দিনে দুই থেকে চারবার কিছু পরিমাণ মেথি চিবিয়ে খেলে পেট ভরা ভরা মনে হবে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের এই পদ্ধতিটি অনেক কাজে আসবে।

মেথির পানির উপকারিতা

মেথির বীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে অনেক উপকারিতা পাওয়া যায়। মেথি বীজের পানির উপকারিতা পাওয়ার জন্য সাধারণত এর বীজকে পানিতে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। সাধারণত এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই চামচ পরিমাণ মেথি ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খেতে হবে। মেথি পানিতে ভেজালে মেথির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং বিভিন্ন খনিজ পানিতে স্থানান্তরিত হয়। যা পান করলে পেটের বিভিন্ন রকম সমস্যা, পাকস্থলের সমস্যা সহ রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস পানিতে দুই চামচ পরিমাণ মেথি ভিজিয়ে রাখেন। এবং সকালে উঠে খালি পেটে মেথির এই পানির সাথে হালকা পরিমাণ মধু মিশিয়ে পান করেন তাহলে এটি আপনার শরীরে থাকা বিভিন্ন রোগ জীবাণু ধ্বংস করবে। তবে মেথি ভেজানো পানি পান করার ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করবেন। যদি মেথিতে আপনার কোন এলার্জি থেকে থাকে তাহলে মেথির পানি পান করা যাবে না। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে খালি পেটে একবার পান করবেন। 

মেথি কি

মেথির তেলের উপকারিতা

মেথি বীজ থেকে তেল উৎপাদন করা যায়। মেথির তেলের উপকারিতা সম্পর্কে অনেকে জানতে চান। মেথি তেল সাধারণত আমাদের দেশে চুলের যত্নে বেশি ব্যবহৃত হয়। তবে চুলের যত্নের পাশাপাশি মেথির তেল সোয়াবিন এবং অন্যান্য তেলের বিকল্প হিসেবেও খাওয়া যায়। মেথির তেলে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা হৃদরোগ কমাতে সাহায্য করে। চুলের যত্নে মেথির তেলের উপকারিতা অনেক। আমাদের দেশের অনেক মেয়েরাই তাদের চুলের যত্নে মেথির তেল এবং মেথির বিভিন্ন প্যাক তৈরি করে ব্যাবহার করে। মেথির তেলে রয়েছে অ্যালফা-লিনোলেনিক এসিড, ওমেগা-3,6 ফ্যাটি এসিড, অ্যালফা-হাইড্রক্সি অ্যাসিড, বিটামিন-এ, বিটামিন-ডি, প্রোটিন, আয়রন, পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং সিলিকন ইত্যাদি ধরনের পুষ্টি উপাদান, যা চুলের স্বাস্থ্য উন্নতির জন্যে অনেক উপকারী। নিয়মিত মেথি তেল ব্যবহার করলে মাথার চুল ঝরে পড়া রোধ হয়, মেথির তেলে থাকা লিনোলিক এসিড চুলের ঝরে পড়া অনেকাংশে কমিয়ে ফেলে। মেথির তেলে থাকা এন্টিফাংগাল এবং এন্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণ চুলের হলদে এবং বাদামীভাব দূর করে চুল কালো রাখতে সহায়তা করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত মেথির তেল ব্যবহার করে তাদের চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। মেথি তেল মেথির বীজ থেকে ঘরোয়া উপায়ে তৈরি করা যায়। তাছাড়া বিভিন্ন অনলাইন শপ এবং বিউটি কেয়ার প্রোডাক্ট এর দোকানগুলোতে মেথি তেল কিনতে পাওয়া যায়।

পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা

আমাদের মধ্যে অনেকে আছেন যারা পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা কি সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। নীতি সাধারণত পুরুষ নারী উভয়ের স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো। মেথিতে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন ইত্যাদি পুরুষের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে সক্ষম। পুরুষের জন্য মেথির কিছু বিশেষ উপকারিতা রয়েছে। যার মধ্যে একটি হলো যৌন শক্তি বৃদ্ধি করা। মেথির রস মানব শরীরে হরমোনের স্তর বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মেথির মধ্যে থাকা যৌগিক উপাদান শরীরে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে তুলে। এই হরমোন যৌন শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি শরীরের এনার্জি লেভেল বৃদ্ধি করে এছাড়াও শরীরে হাড় মজবুত করতে সহায়তা করে। সাধারণত পুরুষের শরীরে ৪০ বছর বয়সের পর থেকে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমতে থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিসহ অনেক রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। নিয়মিত মেথির রস অথবা মেথি ভিজিয়ে রাখা পানি খেলে শরীরে হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। এছাড়াও মেথি শরীরে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ, পাকস্থলীর বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তিদান সহ আরো বিভিন্ন উপকার করে থাকে।

পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

মেথি খাওয়ার নিয়ম সাধারণত পুরুষ এবং নারী উভয়ের জন্য একই। পুরুষের জন্য মেথি খাওয়ার আলাদাভাবে কোন নিয়মের প্রয়োজন নেই। মেথি বিভিন্নভাবে খাওয়া যায়। এর মধ্যে কিছু প্রচলিত মেথি খাওয়ার নিয়ম দেওয়া হলো:

মেথির পানি খাওয়া: মেথি বীজ পানিতে ভিজিয়ে রাখলে এর মধ্যে থাকা বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ পানিতে অনেক পরিমাণেই স্থানান্তরিত হয়। সাধারণত এক গ্লাস পানিতে এক থেকে দুই চামচ মেথি বীজ ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ভিজিয়ে রেখে সেই পানি খাওয়া যেতে পারে।

মেথির তেল খাওয়া: আমরা জানি মেথি থেকে তেল তৈরি করা হয়। মেথি তেল রান্নার তেল হিসেবে ব্যবহার করে খাওয়া যায়। এর মধ্যে ওমেগা 3 ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।

মেথি পাউডার করে খাওয়া: অনেকে সাধারণত মেথি বীজকে পাউডার করে সেই পাউডার বিভিন্ন রান্নার মসলা হিসেবে এবং পানিতে মিশিয়েও খেয়ে থাকে। পাউডার করার জন্য মেথি বীজ সংগ্রহ করে সেগুলোকে হালকা তাপে গরম করে নিয়ে ব্লেন্ড করে পাউডার তৈরি করা যায়। এরপর সেই পাউডার প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন পরিমাণে খাওয়া যায়। এগুলো ছাড়াও মেথি খাওয়ার আরও অনেক পদ্ধতি রয়েছে। তবে এই পদ্ধতি গুলো মেথি খাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়। প্রতিদিন সাধারণত দুই থেকে চার চামচ মেথি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য যথেষ্ট। অতিরিক্ত মেথি খেলে আবার বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি হতে পারে। তাই সাবধানতার সাথে পরিমাণ মাফিক মেথি খেতে হবে।

মেয়েদের জন্য মেথির উপকারিতা

ছেলে মেয়ে সকলের জন্য মেথি খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। অনেকে মেয়েদের জন্য মেথির উপকারিতা সম্পর্কে গুগলে সার্চ করে থাকেন এবং এই বিষয়ে তথ্য জানতে চান। ইন্টারনেটে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া মুশকিল। তবে এই অংশে আমরা মেয়েদের জন্য মেথির উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। মেতে থাকে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ যেমন আয়োডিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি। এইসব উপকারী ক্ষণেজ এবং ভিটামিন থাকার কারণে মেথি মেয়েদের শরীরের অনেক উপকারে আসে। মেয়েদের জন্য মেথির বিশেষ কিছু উপকারিতা উল্লেখ করা হলো: 

ঋতুস্রাবের সময় মেথির উপকারিতা: ঋতুস্রাবের সময় পেট ব্যাথা কমাতে মেথি অনেক উপকারে আসতে পারে। অনেক মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত বেশি পরিমাণে পেটে ব্যাথা হয়ে থাকে। মেথিতে আছে এন্টিইনফ্লামেটরি প্রোপার্টিজ যা ঋতুস্রাবের সময় পেট ব্যাথা কমাতে পারে। সাধারণত ঋতুস্রাবের সময় এক গ্লাস মেথির পানি পান করলে পেট ব্যাথা অনেক কমে আসবে।

গর্ভাবস্থায় মেথির উপকারিতা: মেথি বীজ ফলিক এসিডের একটি ভালো উৎস। যা গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাসে শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেথি বীজে আছে প্রোস্টাটিন উপাদান যা গর্ভাবস্থায় শিশুর নিউরোলজিক্যাল ডেভেলপমেন্ট এর সহায়তা করে। এছাড়া মেথি বিজি থাকা ভিটামিন আয়রন ক্যালসিয়াম ও অন্যান্য খনিজ গর্ভাবস্থায় শিশু ও মায়ের জন্য খুবই উপকারী। 

তবে গর্ভাবস্থায় মেথি খাওয়ার আগে অবশ্যই পেশাদার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রতিদিন কি পরিমান মেথি খাওয়া যায় সে বিষয়েও ডাক্তারের থেকে পরামর্শ নিয়ে তারপর মেথি খাওয়া উচিত। গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া মেথি খেলে মা ও সন্তান উভয়ের সমস্যা হতে পারে।

মেথির উপকারিতা চুলের জন্য

বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য উপকারিতা ছাড়াও মেথির ব্যবহার ত্বকের যত্নে বেশি দেখা যায়। সাধারণত আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চুলের উপকারিতার জন্য মেথিকে ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে মেয়েরা তাদের চুলের যত্নে মেথি ব্যবহার করে। মেথিতে বিভিন্ন ধরনের উপকারী উপাদান থাকায় এটি চুলের জন্য খুবই ভালো একটি চিকিৎসা হতে পারে। যাদের চুল পড়ার সমস্যা আছে, চুল লম্বা হয় না, চুল ঘন নয় এছাড়াও চুলের কালার পাল্টে গেছে তারা বিভিন্ন ধরনের মেথি প্যাক ব্যবহার করে চুলের যত্ন নিতে পারেন। এছাড়াও বাংলাদেশে অনেক রেডিমেড মেথি তেল পাওয়া যায় এগুলো কিনে আপনি চুলের উপকারিতার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। মেথির তেল নিয়ে উপরে আলোচনা করা হয়েছে। তাই আমরা এখন চুলের জন্য মেথির অন্যান্য উপকারী দিকগুলো সম্পর্কে আলোচনা করব। 

চুলের গ্রোথ: মেথি বীজে সর্বোচ্চ পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে বিভিন্ন ধরনের মিনারেল উপস্থিত যেমন ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। এই মিনারেল গুলো চুলের মধ্যে থাকলে চুলের গ্রোথ ভালো হয়। মেথি ভিজে থাকা অন্যান্য উপাদান চুলে সঠিক নিউট্রেশন প্রদান করে তাই চুলের বৃদ্ধি বেশি হয়।

নতুন চুল গজানো: মেথি বীজে থাকা বিভিন্ন এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান চুলের গোড়াকে পরিষ্কার এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখে যার ফলে সেখানে নতুন চুল গজায়। 

চুলের কালার ঠিক রাখা: মেথি ভিজে আছে বিভিন্ন নিউট্রেশনাল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রপার্টিজ যা চুলকে সুস্থতা ও ড্যামেজ থেকে রক্ষা করে ও চুলের মোইস্চারাইজিংয়ে সাহায্য করে। যার ফলে চুলের প্রাকৃতিক কালার বজায় থাকে।

চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা

আমাদের দেশের মেয়েরা চুলের যত্নের জন্য মেথি ও কালোজিরা বিশেষভাবে ব্যবহার করে থাকে। অনেকে মেথি এবং কালোজিরা প্যাক একসাথে তৈরি করে মাথায় ব্যবহার করে। এছাড়া বাজারে মেথি এবং কালোজিরার তেল পাওয়া যায় যা চুলের যত্নে খুবই উপকারী। অধিকাংশ মেয়েরাই মেথি ও কালোজিরা প্যাক ঘরোয়াভাবে তৈরি করে চুলের যত্ন নিয়ে থাকে। চলুন জেনে নেই চুলের যত্নে মেথি ও কালোজিরা প্যাক কিভাবে তৈরি করতে হয় এবং ব্যাবহার করতে হয়। চুলের যত্নে মেথিও কালোজিরা প্যাক বিভিন্নভাবে তৈরি করা যায়। চলুন প্রচলিত এবং ভালো কয়েকটি পদ্ধতি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করি। 

মেথি ও কালোজিরার তেল: তেলের মাধ্যমে ও কালোজিরার প্যাক তৈরি করা খুবই ভালো একটি পদ্ধতি। প্রথমে ভালো কিছু মেথি বীজ এবং কালোজিরা সংগ্রহ করুন। এরপর এই বীজ গুলোকে ভালো করে রোদে শুকিয়ে নিন। ভালোমতো শুকিয়ে গেলে এগুলোকে ব্লেন্ডার অথবা অন্য কোন মাধ্যমে পাউডারের মত করে নিন। এইবার খাঁটি নারিকেল তেলের সঙ্গে এই পাউডার মিশিয়ে নিন। এই প্যাক সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন। এভাবে ব্যবহার করলে দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই আপনার চুলের মধ্যে ভালো পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

মেথি ও কালোজিরার পেস্ট: মেথি ও কালোজিরা পেস্ট অনেকে মাথায় ব্যবহার করে। সাধারণত কিছু পরিমাণ মেথি ও কালোজিরা নিয়ে একসাথে পেস্ট এর মত তৈরি করতে হবে। সাথে সামান্য পরিমাণ অলিভ অয়েল অথবা নারিকেল তেল মিশিয়ে নিলে ভালো হয়। এরপর এই পেস্টটি চুলের মধ্যে এবং মাথার ত্বকে ২০ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখতে হবে। এইভাবে সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করলে কয়েক মাসের মধ্যেই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

উপরোক্ত দুইভাবে তৈরি করা মেথি ও কালোজিরা প্যাক আমাদের চুলের জন্য খুবই উপকারী হতে পারে। 

চুলের যত্নে আমলকি ও মেথি

চুলের যত্নে মেথি আমলকির ব্যবহার অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে। তাই অনেকেই এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আগ্রহী। আমলকিতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, এছাড়াও ভিটামিন এ, ফলিক অ্যাসিড, অ্যামিনো এসিড, ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার ইত্যাদি। যা চুলের যত্নে বিশেষ উপকারী উপাদান হতে পারে। আমাদের দেশের মেয়েরা অনেকে চুলের যত্ন নেওয়ার জন্য আমলকি ও মেথি একসাথে ব্যবহার করে। আমলকি ও মেথি দিয়ে তৈরি করা হেয়ার প্যাক চুলের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চলুন জেনে নেই আমরা আমলকি ও মেথি দিয়ে কি ধরনের হেয়ার প্যাক তৈরি করা যায় এবং কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। 

মেথি ও আমলকির পেস্ট: প্রথমে ভালো কিছু আমলকি এবং মেথি বীজ সংগ্রহ করুন। এরপর এগুলোকে ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে ব্লেন্ডার অথবা অন্য কোন মাধ্যমে একসাথে পেস্ট এর মত তৈরি করে নিন। এর সাথে সামান্য পরিমাণ নারিকেল তেল অথবা অলিভ অয়েল যোগ করুন। এরপর এই পেস্ট সপ্তাহে দুই দিন চুলে ও চুলের গোড়াই ব্যবহার করতে পারেন। যেদিন চুলে ব্যবহার করবেন তার ঠিক ৫ মিনিট বা ১০ মিনিট আগে এই প্যাক তৈরি করবেন যেন সতেজ অবস্থায় চুলে দেওয়া যায়। 

আমলকি ও মেথির তেল: আমলকি ও মেথি তেলের সাথে মিশ্রিত করেও ব্যবহার করা যায়। আমলকি রসে থাকে প্রচুর পরিমাণ 'ভিটামিন সি' যা আপনার চুলকে সতেজ ও মসৃণ রাখতে সাহায্য করে। আমলকি ও মেথির তেল পদ্ধতি হলো আপনি নিয়মিত যে তেল ব্যবহার করেন তার সাথে আমলকি রস ও মেথির গুঁড়ো মিশিয়ে তারপর মাথায় ব্যবহার করবেন। এর মাধ্যমে আপনার চুল মজবুত হবে, চুল ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা হবে, মাথায় নতুন চুল গজাবে, চুলের ক্ষয় প্রতিরোধ হবে এবং চুলের প্রাকৃতিক কালার ঠিক থাকবে। 

তবে ব্যবহার করার আগে অবশ্যই এটি নিশ্চিত হয়ে নিবেন যে, আমলকি ও মেথিত আপনারে কোন এলার্জি আছে কিনা। কোনরকম এলার্জি বা সমস্যা থাকলে এগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন এবং অন্যান্য পদ্ধতি অবলম্বন করুন।

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

গ্যাস্ট্রিক সকল বয়সী মানুষদের একটি সাধারন সমস্যায় পরিণত হয়েছে। অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া বিভিন্ন তেল ও চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া ইত্যাদি থেকে গ্যাস্ট্রিকের উৎপত্তি। তবে অনেকের ক্ষেত্রে নিয়মিত এবং বাছাই করা খাবার খাওয়ার পরেও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। গ্যাস্ট্রিকের এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে অনেকেই প্রতিদিন গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট খেয়ে থাকে। নিয়মিত এই ওষুধ খাওয়ার ফলে শরীরে আরও বিভিন্ন ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয় যেমন কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই অনেকে প্রাকৃতিক উপায়ে গ্যাস্ট্রিক কমানোর চিন্তাধারা করে। তাই গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই। মেথি এমন একটি প্রাকৃতিক ঔষধ যা গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধান করতেও সক্ষম। নিচে গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম দেওয়া হলো:

মেথি ভেজানো পানি খাওয়া: প্রতিদিন রাতে এক চা চামচ মেথি বীজ এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবং সকালে উঠে সেই মেথি ভেজানো পানি খালি পেটে পান করুন। এভাবে নিয়মিত পান করলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে। 

মসলা হিসেবে: মসলা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। যেমন আপনার প্রতিদিনের তরকারিতে মেথির গুঁড়ো ব্যবহার করে রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। 

মেথি সরবত খাওয়া: মেথি দিয়ে বিভিন্ন ধরনের শরবত তৈরি করে খাওয়া যেতে পারে। যেমন মেথিবীজ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেই পানির মধ্যে কিছু পরিমাণ মধু কালোজিরা মিশ্রিত করে সরবত তৈরি করে পান করা যেতে পারে। 

এভাবে মেথি নিয়মিত খেলে গ্যাস্ট্রিকসহ পেটের আরো অন্যান্য সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। কারণ মেথিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এবং বিভিন্ন খনিজ উপাদান। তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের জন্য খালি পেটে উপরে উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী মেথি খেয়ে যেতে হবে। 

ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মেথি খুবই উপকারী একটি প্রাকৃতিক ওষুধ। নিয়মিত মেথি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। মেথি ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম কিনা তা জানার জন্য ইতিমধ্যে অনেক গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে। গবেষণার ফলাফল থেকে দেখা যায় যারা নিয়মিত মেথি খেয়ে থাকে তাদের হরমোনের লেভেল অনেক বেড়ে যায়। মেথির রসে আছে অ্যামিনো এসিড, ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে বেশি পরিমাণে ইনসুলিন তৈরি করে। মেথির গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই কম তাই এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। মেথি খাবারের অ্যালসিনিক অ্যাসিডের পরিমাণ কমায় যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত মেথি খেলে শরীরের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। আমাদের দেশে অনেকে আছেন যারা অতিরিক্ত ডায়াবেটিস রোগে ভুগছেন। তাই ডায়াবেটিসে মেথি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। নিচে ডায়বেটিস রোগীদের জন্য কিভাবে মেথি খাওয়া যায় তা আলোচনা করা হলো:

সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন নিয়মিত দশ গ্রাম করে মেথি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত রাতে এক গ্লাস পানিতে ১০ গ্রাম মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে সেই মেথির পানি পান করলে ডায়াবেটিস থেকে অনেকাংশে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী মেথি খেতে হবে। সাধারণত সকাল বেলা খালি পেটে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মেথি খাওয়া উত্তম।

ডায়াবেটিসের ঔষধ এবং মেথি একসাথে খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি পরিমাণে কমে যেতে পারে ফলে অন্যান্য সুবিধার সৃষ্টি হবে। আপনি যদি নিয়মিত ডায়াবেটিসের ওষুধ খেয়ে থাকেন তাহলে মেথি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। ডাক্তার আপনাকে যে পরিমাণ মেথি খাওয়ার জন্য বলবে সে পরিমাণে খেতে পারবেন।

মেথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

মেথিতে অনেক ধরনের ভিটামিন, প্রোটিন, মিনারেল এবং শরীরের জন্য অনেক খনিজ উপাদান থাকে যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে অনেক উপকারী। মেথি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী হলেও এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত পরিমাণে মেথি খেলে অনেক ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। নিচে মেথির কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া উল্লেখ করা হলো: 

অ্যালার্জি: মেথির মধ্যে অনেকের এলার্জি থাকতে পারে। তাই মেথি খাওয়ার বা ব্যবহার করার পূর্বে এলার্জি আছে কিনা সে সম্পর্কে অবশ্যই জেনে নিতে হবে।

বমি বা মাথাব্যাথা: কিছু কিছু মানুষের মেথি খাওয়ার পর বমি বা মাথাব্যথা হতে পারে যা মেথির একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে গণ্য করা হয়।

পেট ব্যাথা বা বদহজম: অতিরিক্ত মেথি খাওয়ার ফলে অনেকের পেটে সমস্যা পেট ব্যাথা বা বদহজমের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত পরিমাণ মেথি খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলে আমরা মেথি কি, মেথি কিভাবে খেলে ভালো হয়, পুরুষের জন্য মেথির বিভিন্ন উপকারিতা, মেয়েদের জন্য মেথি খাওয়ার উপকারিতা, মেথির বিভিন্ন প্রকার প্যাক তৈরি ও চুলের জন্য এর ব্যবহার এবং মেথির আরো অন্যান্য উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করি আজকের পোস্টের মাধ্যমে আপনি মেথি সম্পর্কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পেরেছেন। অতিরিক্ত পরিমাণ মেথি খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ গ্রাম মেথি খাওয়া যেতে পারে। তবে মেথি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। আমাদের এই পোস্টে ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। যদি আমাদের এই পোস্ট সম্পর্কে আপনার কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ শেষ পর্যন্ত আমাদের সাথে থাকার জন্য। 

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url