Explain the background of the establishment of the state of Pakistan. Or,
Under what conditions did the state of Pakistan emerge?
The Indian subcontinent was under British rule for about 200 years before the Indian Independence Act of 1947.
During the long British rule, the people of this subcontinent, especially the Hindus and Muslims, were subjected to deprivation and torture in various ways. Oppressed and deprived people began to agitate covertly in an effort to get rid of the British rule-exploitation and deprivation. And the essence of this movement is the emergence of the state of Pakistan.
Background of the establishment of the state of Pakistan
The conditions under which the state of Pakistan emerged are discussed below
Aligarh Movement
In 1757 Palashi War and 1857 Sepahi Rebellion, when the Muslims were crushed and disoriented due to the British appeasement policy of the Hindu community, Sir Syed Ahmad Khan came to the rescue of the Muslims. He started a movement to educate the backward Muslim community and introduce them to Western knowledge, known in history as the Aligarh Movement. In fact, as a result of this movement, Muslims were educated in modern education and systematically found a new way of movement as a separate nation, which inspired the emergence of Pakistan.
Hindu-Muslim Conflict
In the United Provinces of British India, intense conflict arose between the Hindu and Muslim communities over the Urdu and Hindi languages. Moreover, the Hindu-Muslim conflict was also at its height due to the formation of Gorakhsa Samiti by Balgangadhar Tilak and opposition to the Congress. In view of these oppositions, the need for a national institution for Muslims became acute. So the Hindu-Muslim conflict is also considered as one of the reasons for the emergence of the state called Pakistan.
Formation of Muslim League
In view of the Hindu-Muslim conflict, the British government took initiatives to preserve all kinds of political rights and interests of Muslims by increasing harmony between Muslims. And the result of this initiative was the formation of the Muslim League in 1906. In fact, the establishment of the Muslim League laid the foundations of the two-nation theory in the politics of the Indian subcontinent. The inevitable result was the partition of India in 1947 and the establishment of the state of Pakistan.
Futility of BTish Pledges
The partition of Bengal, atrocities on Muslim mobs in Kanpur and bad situation arising out of the Balkan wars made the Muslims realize the futility of the promises of the British government. In view of this situation, the Hindu Muslim community felt the need to unite. which helped in the emergence of the state of Pakistan.
Lucknow Pact
In 1916, the Muslim League and the Congress met in a joint session in Lucknow and signed an agreement containing a plan of governance, known as the Lucknow Pact. Through the Lucknow Pact, the Congress recognized Muslims as a separate political entity. Through this, for the first time, the Congress and the Muslim League jointly presented the demand for autonomy to the British government. So there is no doubt that the Lucknow agreement is also one of the reasons for the emergence of the state of Pakistan.
Khilafat movement
When the First World War started in 1914, the British government promised to protect the status of the Khilafat in Turkey and to give the status of full autonomy to the people of India at the end of the war. But at the end of the war, the British government broke the promise. As a result, the Khilafat movement was formed in 1920. Although this Khilafat movement ultimately failed, political consciousness developed among the Muslims, from which the Muslim community was united and motivated to form a state called Pakistan.
Jinnah's Fourteen Points
In 1929, a session of the All India Muslim League was held in Delhi. Muslims in this session. League leader Muhammad Ali Jinnah put forward his famous Fourteen Points. In these fourteen points, there was a clear demand to preserve the rights of Muslims in various fields. When Congress and Hindu community leaders showed reluctance to these demands, Muslim leaders and philosophers thought of establishing a state called Pakistan.
1937 Elections
In the 1937 elections, the Congress won absolute majority in 7 out of 11 provinces (Madras, United Pradesh, Madhya Pradesh, Bihar, Orissa, Bombay and North West Frontier Province). After gaining absolute majority, the Congress began to treat the Muslims in a lenient manner. They tried to play 'Vande Mataram', the party anthem of the Congress in various state meetings. Besides, various party activities of the Congress tried to be converted into state programs. The Muslims were alarmed by this action of the Congress and realized that Hindu-Muslim unity was no longer possible. As a result, they tried to form a separate state with the Muslim majority area.
LAHORE PROPOSAL
Realizing the hypocritical attitude of Congress leaders in Sher-e-Bangla, AK Fazlul Haque contemplated the creation of a separate homeland for Muslims. To this end, he proposed the formation of separate states for Muslims in the north-western and eastern regions of India where Muslims are in majority. This proposal is known as the historic Lahore proposal. This proposal is also called Pakistan proposal. The Muslims were invigorated anew by this proposal. The state of Pakistan germinated in this seed of Lahore.
The Six-Nation Theory
When the then Muslim League leader Muhammad Ali Jinnah realized that there was no possibility of Hindu-Muslim reconciliation in the subcontinent, the two-nation theory appeared before the Muslims in support of the Lahore proposal of AK Fazlul Haque of Sher-e-Bangla. Jinnah, in his two-nation theory, said, "The Muslims of India are one nation, so it is imperative that they have a separate homeland of their own." From his theory, Muslims found a way to get rid of the oppression of the Hindus and the British government. After all, political experts believe that the Lahore proposal and the two-nation theory worked together to give rise to the state of Pakistan.
Strong position of the Muslim League
After the 1937 elections, the Muslim League worked to increase its strength. The strength of the Muslim League was greatly increased when the Chief Minister of Punjab, Sikandar Hayat Khan, and AK Fazlul Haque of Sher-e-Bangla joined the Muslim League. At this time, with the aim of popularizing the Muslim League, Muhammad Ali Jinnah called for the unity of the Muslims of India in the Lucknow Session of 1937. Responding to his call, almost all the Muslim leaders of Bengal, Assam and Punjab joined the Muslim League. Jinnah campaigned in various ways to unite the Muslims. As a result, the popularity of the Muslim League grew, which played a powerful role in the emergence of the state of Pakistan.
Finally, it can be said that the rise of Muslim separatism and demand for Pakistan is an important event in British Indian politics. Although the state of Pakistan was created due to various events, it did not bring any good results for the people of the eastern part of Pakistan. In short, the purpose with which the state of Pakistan came into being did not succeed, it only separated from India and placed itself on the world map as a separate country.
In Bengali:
পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পটভূমি তুলে ধর। অথবা,
কোন অবস্থার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছিল আলোচনা কর।
১৯৪৭ সালের ভারত স্বাধীনতা আইন প্রণয়নের পূর্বপর্যন্ত প্রায় ২০০ বছর ভারতীয় উপমহাদেশ ব্রিটিশ শাসনাধীন ছিল।
সুদীর্ঘ ব্রিটিশ শাসনামলে এ উপমহাদেশের জনগণ বিশেষ করে হিন্দু-মুসলিমরা নানাভাবে বঞ্চনার ও নির্যাতনের শিকার হতে থাকে। ব্রিটিশদের শাসন-শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির প্রয়াসে নির্যাতিত ও বঞ্চিত জনগণ প্রচ্ছন্নভাবে আন্দোলন করতে থাকে। আর এ আন্দোলনের মূল নির্যাস হলো পাকিস্তান রাষ্ট্রের উদ্ভব।
পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পটভূমি
যে অবস্থার প্রেক্ষিতে পাকিস্তান রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়েছিল তা নিম্নে আলোচনা করা হলো:
আলীগড় আন্দোলন
১৭৫৭ সালের পলাশী যুদ্ধ ও ১৮৫৭ সাথে সেপাহি বিদ্রোহের দগদগে ক্ষত, হিন্দু সম্প্রদায়ের ব্রিটিশ তোষণ নীতি সর্বোপরি ব্রিটিশ সরকারের দমন ও নির্যাতননীতির কারণে মুসলমানরা যখন নিষ্পেশিত ও দিশেহারা তখন মুসলমানদের রক্ষায় এগিয়ে আসেন স্যার সৈয়দ আহমদ খান। তিনি পিছিয়ে পড়া মুসলমান সম্প্রদায়কে সচেতন করে তোলার পাশাপাশি পাশ্চাত্য জ্ঞানবিজ্ঞানের সাথে তাদের পরিচিতি ঘটানোর এক আন্দোলন গড়ে তোলেন, যা ইতিহাসে আলীগড় আন্দোলন নামে পরিচিত। বস্তুত এ আন্দোলনের ফলে মুসলমানগণ আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নিয়মতাজিক উপায়ে পৃথক জাতি হিসেবে আন্দোলনের এক নতুন পথের সন্ধান প্রাপ্ত হন, যা পাকিস্তান উদ্ভবে প্রেরণা যুগিয়েছে।
হিন্দু-মুসলিম বিরোধ
ব্রিটিশ ভারতের যুক্তপ্রদেশে উর্দু ও হিন্দি ভাষা নিয়ে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দেয়। তাছাড়া বালগঙ্গাধর তিলক কর্তৃক গোরক্ষা সমিতি গঠন এবং কংগ্রেসের বিরোধিতা নিয়েও হিন্দু-মুসলিম বিরোধ তুঙ্গে ছিল। এসব বিরোধিতার প্রেক্ষিতে মুসলমানদের জন্য একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা তীব্রভাবে দেখা দেয়। সুতরাং হিন্দু-মুসলিম বিরোধকেও পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র উদ্ভবের অন্যতম কারণ হিসেবে গণ্য করা হয়।
মুসলিম লীগ গঠন
হিন্দু-মুসলিম বিরোধের প্রেক্ষিতে ব্রিটিশ সরকার ও মুসলমানদের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে মুসলমানদের সকল প্রকার রাজনৈতিক অধিকার স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আর এ উদ্যোগের ফসল হলো ১৯০৬ সালে মুসলিম লীগ গঠন। প্রকৃতপক্ষে মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার ফলেই ভারতীয় উপমহাদেশের রাজনীতিতে দুই জাতি তত্ত্বের ভিত্তি স্থাপিত হয়। এর অনিবার্য পরিণাম হলো ১৯৪৭ সালের ভারত বিভাগ এবং পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা লাভ।
বিটিশ অঙ্গীকারের অসারতা
বঙ্গভঙ্গ রদ, কানপুরে মুসলিম জনতার উপর নৃশংসতা এবং বলকান যুদ্ধের ফলে উদ্ভূত খারাপ পরিস্থিতির কারণে মুসলমানরা ব্রিটিশ সরকারের অঙ্গীকারের অসারতা অনুধাবন করতে পারে। এহেন অবস্থার প্রেক্ষিতে হিন্দু মুসলিম সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হবার প্রয়োজনীয়তাবোধ করে। যা পাকিস্তান রাষ্ট্র উদ্ভবে সহায়তা করে।
লক্ষ্ণৌ চুক্তি
হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হবার প্রয়োজনীয়তা থেকে মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর উদ্যোগে ১৯১৬ সালে মুসলিম লীগ ও কংগ্রেস লক্ষ্ণৌতে এক যৌথ অধিবেশনে বসে শাসনতান্ত্রিক পরিকল্পনা সম্বলিত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা লক্ষ্ণৌ চুক্তি নামে পরিচিত। এ লক্ষ্ণৌ চুক্তির মাধ্যমে কংগ্রেস মুসলমানদের একটি পৃথক রাজনৈতিক সত্ত্বা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ যৌথভাবে ব্রিটিশ সরকারের নিকট স্বায়ত্তশাসনের দাবি পেশ করে। সুতরাং লক্ষ্ণৌ চুক্তিও পাকিস্তান রাষ্ট্র উদ্ভবের অন্যতম কারণ এতে কোনো সন্দেহ নেই।
খিলাফত আন্দোলন
১৯১৪ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে ব্রিটিশ সরকার তুরস্কে বিদ্যমান খিলাফতের মর্যাদা রক্ষা এবং যুদ্ধ শেষে ভারতবাসীকে পূর্ণ স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা দানের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু যুদ্ধ শেষে ব্রিটিশ সরকার অঙ্গীকারকৃত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। ফলে ১৯২০ সালে খিলাফত আন্দোলন গড়ে উঠে। এ খিলাফত আন্দোলন শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হলেও মুসলমানদের মাঝে রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটে, যা থেকে মুসলমান সম্প্রদায় ঐক্যবদ্ধ হয় এবং পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র গঠনে উদ্বুদ্ধ হয়।
জিন্নাহর চৌদ্দ দফা
১৯২৯ সালে দিল্লিতে নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এ অধিবেশনে মুসলিম। লীগের নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ তার বিখ্যাত চৌদ্দ দফা উত্থাপন করেন। এ চৌদ্দ দফায় মুসলমানদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অধিকার সংরক্ষণের সুস্পষ্ট দাবি ছিল। কংগ্রেস তথা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারা এ দাবিগুলোর প্রতি অনীহা দেখালে মুসলিম নেতৃবৃন্দ ও দার্শনিকগণ পাকিস্তান নামক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চিন্তা করেন।
১৯৩৭ সালের নির্বাচন
১৯৩৭ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস ১১টি প্রদেশের মধ্যে ৭টি (মাদ্রাজ, যুক্তপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, বিহার, উড়িষ্যা, বোম্বে ও উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ) প্রদেশে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভের পর মুসলমানদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ করতে থাকে। তারা রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সভা সমাবেশে কংগ্রেসের দলীয় সঙ্গীত ‘বন্দে মাতরম' বাজানোর চেষ্টা করে। এছাড়া কংগ্রেসের বিভিন্ন দলীয় কার্যক্রমকে রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে রূপান্তরের চেষ্টা চালায়। কংগ্রেসের এহেন কর্মকাণ্ডে মুসলমানরা শঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং উপলব্দি করে যে, হিন্দু-মুসলিম ঐক্য আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ফলে তারা মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা নিয়ে আলাদা রাষ্ট্র গঠনের চেষ্টা করে।
লাহোর প্রস্তাব
শেরেবাংলা একে ফজলুল হক কংগ্রেস নেতৃবৃন্দের কংগ্রেসের কূট মনোভাব উপলব্ধি করে মুসলমানদের জন্য স্বতন্ত্র আবাসভূমি গঠনের কথা চিন্তা করেন। এ লক্ষ্যে তিনি ভারতের উত্তর-পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলে যেখানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ সেসব এলাকায় তাদের জন্য আলাদা রাষ্ট্রসমূহ গঠনের প্রস্তাব করেন। এ প্রস্তাবটিই ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব নামে পরিচিত। এ প্রস্তাবটিকে পাকিস্তান প্রস্তাবও বলা হয়। মুসলমানরা এ প্রস্তাব দ্বারা নতুনভাবে উজ্জীবিত হন। লাহোর প্রস্ত াবের এ বীজেই অঙ্কুরোদগম ঘটে পাকিস্তান রাষ্ট্রের।
ছি-জাতি তত্ত্ব
তৎকালীন মুসলিম লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যখন উপলদ্ধি করেন যে, উপমহাদেশে হিন্দু-মুসলমান সমঝোতা হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই, তখন শেরেবাংলা একে ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাবের সমর্থনে দ্বি-জাতি তত্ত্ব নিয়ে মুসলমানদের সামনে হাজির হন। জিন্নাহ তার দ্বি-জাতি তত্ত্বে বলেন, "ভারতের মুসলমানরা একটি জাতি, তাই তাদের একটি নিজস্ব পৃথক আবাসভূমি থাকা একান্ত প্রয়োজন।" তার এ তত্ত্ব থেকে মুসলমানরা ব্রিটিশ সরকার এবং হিন্দুদের অত্যাচার থেকে মুক্তি লাভের উপায় খুঁজে পায়। সর্বোপরি, লাহোর প্রস্তাব ও দ্বি-জাতি তত্ত্ব সম্মিলিতভাবে পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের উদ্ভবে কাজ করেছে বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন।
মুসলিম লীগের শক্ত অবস্থান
১৯৩৭ সালের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে মুসলিম লীগ শক্তি বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করেন। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী সিকান্দার হায়াত খাঁ এবং শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক মুসলিম লীগে যোগদান করলে মুসলিম লীগের শক্তি বহুলাংশে বৃদ্ধি পায়। এ সময় মুসলিম লীগকে জনপ্রিয় করে তোলার লক্ষ্যে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১৯৩৭ সালের লক্ষ্ণৌ অধিবেশনে ভারতের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান। তার আহবানে সাড়া দিয়ে বাংলা, আসাম ও পাঞ্জাবের প্রায় সকল মুসলিম নেতারাই মুসলিম লীগে যোগদান করে। জিন্নাহ মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য নানাভাবে প্রচারণা চালাতে থাকে। ফলে মুসলিম লীগের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পায়, যা পাকিস্তান রাষ্ট্রের উদ্ভবে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করে।
পরিশেষে বলা যায় যে, ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতিতে মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদের উত্থান ও পাকিস্তান দাবি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। নানা ঘটনার পথ পরিক্রমায় পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হলেও পাকিস্তানের পূর্ব অংশের মানুষের জন্য কোনো শুভ ফল বয়ে আনতে পারেনি। মোটকথা, যে উদ্দেশ্য নিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটে তা সফলতা লাভ করতে পারেনি, শুধু আলাদা হয়েছে ভারতবর্ষ থেকে এবং বিশ্ব মানচিত্রের বুকে স্থান করে নিয়েছে আলাদা একটি দেশ হিসেবে।