জীবনের উৎপত্তি সংক্রান্ত জীব রাসায়নিক মতবাদ
জীবনের উৎপত্তি সংক্রান্ত জীব রাসায়নিক মতবাদ
জীব রাসায়নিক মতবাদ (Biochemical Theory) :
রাশিয়ান জীবরসায়ন বিজ্ঞানী A. I. Oparin উক্ত মতবাদ ব্যক্ত করেন। তাঁর মতে, পৃথিবীর উৎপত্তি এবং তারপর পৃথিবীতে সৃষ্ট সাগরের পানিতে মিশ্রিত অজীব জৈব যৌগ থেকে জীব বা জীবের উৎপত্তি ঘটে। ওপারিন জীবনের আবির্ভাব সংক্রান্ত পর্যায়ক্রমিক প্রাণরাসায়নিক ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। তিনি মনে করেন, পৃথিবীতে বায়ুমণ্ডল সৃষ্টির সাথে সাথে জীবনের আবির্ভাব ঘটে। বিজ্ঞানী ওপারিনের জীব রাসায়নিক মতবাদ নিচে উপস্থাপন করা হলো :
উৎপত্তির প্রাক্কালে পৃথিবী ছিল এক জ্বলন্ত পিওবিশেষ যা পরে উত্তপ্ত গলিত পদার্থে পরিণত হয়। ধীরে ধীরে ঠান্ডা হয়ে বাইরে গঠিত হয় পুরু আস্তরণ যার ভিতরে আটকা পড়ে উত্তপ্ত গলিত পদার্থসমূহ। ম্যান্টলে আবদ্ধ এ অভ্যন্তর ভাগ থেকে বিভিন্ন গ্যাসীয় পদার্থ বের হয়ে আচ্ছাদিত করে পৃথিবী যা আদিম পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ।
Related: সাংগঠনিক মাত্রা কী?
আদিম পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ছিল না কোনো অক্সিজেন (O2); তখন হাইড্রোজেন (H2), মিথেন (CH4), কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2), জলীয় বাষ্প (H2O), কার্বন মনো অক্সাইড (CO), নাইট্রোজেন (N2) ইত্যাদি ছিল। পৃথিবী তখন ধীরে ধীরে শীতল হয়ে আসছিল। প্রচুর বৃষ্টিপাত ও বজ্রপাতের ফলে কার্বন ও নাইট্রোজেন ঘটিত পদার্থসমূহ পানিতে জমা হতে থাকে।
অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বেরিয়ে আসা কার্বাইড পানির সাথে বিক্রিয়া করে পানিতে মিশে থাকা কার্বনের সাথে হাইড্রোজেন এবং নাইট্রোজেনের সাথে বিক্রিয়া করে সায়ানাইড গঠন করে। যেমন: হাইড্রোজেন সায়ানাইড (HCI), সায়ানামাইড (NH,CN), ডাই সায়ানামাইড (N = C NH C=N) ইত্যাদি। সায়ানাইড ও পানির বিক্রিয়ায় তৈরি হয় অ্যামোনিয়া।
সূর্য থেকে প্রচণ্ড বেগে আসা কসমিক রশ্মির কণাগুলোর আঘাতে সমুদ্রের পানি, হাইড্রোজেন ও অ্যামোনিয়া মিলিতভাবে সৃষ্টি করে অ্যামাইনো অ্যাসিড। ক্রমান্বয়ে সংশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি হয় প্রোটিন। সংশ্লেষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে আরো তৈরি হয় লিপিড, জৈব এসিড ও নাইট্রোজেনঘটিত বিভিন্ন ধরনের ক্ষার।
এরপর তৈরি হয় প্রোটিন অণুও নিউক্লিওটাইড যা জীবের অন্যতম জৈব রাসায়নিক অণু। পরবর্তীতে নিউক্লিক এসিড, প্রোটিন, লিপিড প্রভৃতি জৈব অণুর সমন্বয়ে এক প্রকার কলোয়ডীয়দেহী পদার্থ বা অণুর সৃষ্টি হয় যা কো-এসারভেট (Co-acervate) বা মাইক্রোস্ফিয়ার নামে অভিহিত।
এভাবে সৃষ্টি কো-এসারভেট ক্রমশ আদি জীবকণা বা Protobiont-এ পরিণত হয়, যা থেকে সরল অকোষীয় virus-এর সৃষ্টি হয়। ও ভৌগোলিক পরিবর্তন, জলবায়ুগত পরিবর্তন ইত্যাদির সাথে সাথে পরিবেশের চাহিদা মেটাতে মিথোজীবিতা প্রক্রিয়ায় এই আদি সরলতম জীবগুলো একে অপরের সাথে মিলিত হয়ে সৃষ্টি করে এককোষী জীব।
এই এককোষী জীবও কোটি কোটি বছর ধরে বিবর্তনের ধারায় পরিণতি লাভ করে এবং ধীরে ধীরে বর্তমানকালের উদ্ভিদ ও প্রাণীতে রূপান্তরিত হয়েছে।
The biochemical theories of origin of life
Biochemical Theory:
Russian biochemist A. I. Oparin expresses this theory. According to him, the origin of the earth and then the origin of living things or organisms from the strange organic compounds mixed in the sea water created on the earth. Oparin presents a periodic biochemical explanation of the origin of life. He thinks that with the creation of the atmosphere on earth comes the emergence of life. The biochemical theory of scientist Oparin is presented below:
On the eve of its origin, the earth was a flaming poop that later turned into a heated molten substance. Gradually it cools and forms a thick lining on the outside with hot molten material trapped inside. From the interior of this mantle, various gaseous substances come out and cover the earth which is the atmosphere of the primitive earth.
⇒Follow us On Google News For Latest Updates ⇐
There was no oxygen (O2) in the atmosphere of the primitive earth; Then hydrogen (H2), methane (CH4), carbon dioxide (CO2), water vapor (H2O), carbon monoxide (CO), nitrogen (N2) etc. ← The world was slowly getting colder then. Heavy rainfall and thunderstorms cause carbon and nitrogenous substances to accumulate in the water.
The carbide released as a result of eruption reacts with water to form cyanide by reacting with hydrogen and nitrogen mixed with carbon in the water. Such as: Hydrogen Cyanide (HCI), Cyanamide (NH, CN), Di Cyanamide (N = C NH C = N) etc. Ammonia is formed by the reaction of cyanide and water.
The amino acids combine to form seawater, hydrogen, and ammonia when they are hit by particles of cosmic rays coming from the sun at high speeds. Proteins are made by gradual synthesis. Through synthesis and analysis more lipids, organic acids and various types of alkalis containing nitrogen are formed.
Then the protein molecule nucleotide is formed which is one of the biochemical molecules of the organism. Later, a combination of organic molecules such as nucleic acids, proteins, lipids, etc., forms a type of colloidal body substance or molecule called co-acervate or microsphere. In this way the co-assert is gradually transformed into a protobiont, which gives rise to a simple acellular virus.
And in the process of coexistence to meet the needs of the environment along with geographical changes, climate change, etc., these simplest organisms combine with each other to form unicellular organisms.
This single-celled organism has evolved over billions of years and has gradually evolved into modern-day plants and animals.
Good project