যোজককলা কী? বৈশিষ্ট্য, কাজ ও প্রকারভেদ

প্রশ্ন- যোজককলা কী? যোজককলার বৈশিষ্ট্য, কাজ ও প্রকারভেদ বর্ণনা কর।

যোজককলা কী? যোজককলার বৈশিষ্ট্য, কাজ ও প্রকারভেদ বর্ণনা কর।What is connectivity? Describe the features, functions and types of conjugation.


যোজককলা : যে কলা প্রাণিদেহের বিভিন্ন অঙ্গ বা একই অঙ্গের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে, তাকে যোজককলা বলে। যেমন- রক্ত, অস্থি, তরুণাস্থি, শ্বেততন্ত্র, মেদ কলা ইত্যাদি। 

বৈশিষ্ট্য :
(i) এ কলার কোষগুলোর বিন্যাস অনিয়মিত অর্থাৎ, কোষগুলো নির্দিষ্ট স্তরে বিন্যস্ত নয়।
(ii) যোজককলা ভ্রূণীয় মেসোডার্ম স্তর থেকে উদ্ভূত হয়।
(ii) এ কলার কোষের সংখ্যা খুব কম।
(iv) কোষগুলো ঘন সন্নিবিষ্ট নয় এবং কোষের ফাঁকে ফাঁকে প্রচুর মাতৃকা বিদ্যমান।
 (v) বিভিন্ন প্রকার কোষ, ধাত্র পদার্থ ও তন্তুর সমন্বয়ে যোজককলা গঠিত।

কাজ :
(i) এরা দেহের বিভিন্ন কলা ও অঙ্গের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।
(iii) যোজককলা নির্মিত কঙ্কাল তন্ত্র প্রাণিদেহের কাঠামো নির্মাণ করে। দেহের ভার বহন করে, পেশি ধারণ করে এবং বিভিন্ন
চলাচল ও সংরক্ষণে সাহায্য করে।
(iii) তরল যোজককলা বা রক্ত দেহাভ্যন্তরের নানাবিধ পদার্থ পরিবহণসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পাদন করে।
(iv) এরা রক্ত কণিকা সৃষ্টি করে।
(v) এ কলা দেহে মেদ, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস সঞ্চয়ে দেহের তাপ সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
(vi) দেহে প্রবিষ্ট বিভিন্ন ক্ষতিকারক পদার্থ ও জীবাণু থেকে দেহকে রক্ষা করে।
(vii) দেহের ক্ষত নিরাময়ে অংশগ্রহণ করে।

যোজককলার প্রকারভেদ গঠন ও কাজের ভিত্তিতে যোজককলাকে তিনভাগে ভাগ করা হয়েছে। নিম্নে এদের বর্ণনা দেওয়া হলো:

যোজককলার প্রকারভেদ (Types of Connective Tissue)
(ক) প্রকৃত বা সাধারণ যোজককলা :
প্রকৃত বা সাধারণ যোজককলার মাতৃকা তন্ত্রময় উপাদান বা ভিত্তি পদার্থ দ্বারা গঠিত হয়। প্রকৃত বা সাধারণ যোজককলাকে পুনরায়
গঠন পদার্থের ভিন্নতার ভিত্তিতে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়। এর হলো :

শিথিল বা অ্যারিওলার যোজককলা :

বৈশিষ্ট্যসমূহ : * এলোমেলোভাবে বিন্যস্ত কোলাজেন ও ইলাস্টিন তন্ত্র থাকে।
* ভিত্তি পদার্থ অর্ধতরল প্রকৃতির এবং জালিকাবৎ।
এই কলা পৌষ্টিক নালির সাবমিউকাস আবরণী, পেশি, রক্ষনালি এবং স্নায়ুর মাঝে সংযোজক হিসাবে অবস্থান করে। বিভিন্ন কলার সংযোজক হিসাবে এবং বিভিন্ন কলা ও অঙ্গের সঞ্চালনায় এরা অংশ নেয়।
(ii) নিবিড় অনিয়মিত যোজককলা :
বৈশিষ্ট্যসমূহ + মাতৃকায় প্রচুর পরিমাণে গুচ্ছবদ্ধ তন্ত্র অনিয়মিতভাবে অবস্থান করে। * এই কলায় সক্রিয় ফাইব্রোব্লাস্টের সংখ্যা কম থাকে। পেশি, স্নায়ু, বিভিন্ন অঙ্গ ও গ্রন্থির বহিঃআবরণীতে এই কলা পাওয়া যায়। যান্ত্রিক চাপ থেকে কলা বা অঙ্গকে এই কলা রক্ষা করে।
 (iii) জ্যাডিপোজ বা চর্বি কলা :
বৈশিষ্ট্যসমূহ: : অ্যাডিপোসাইট কোষ দ্বারা এই কলা গঠিত * অ্যাডিপোসাইটের কেন্দ্রস্থলে চর্বি জমা থাকে।
ত্বকের নিচে, মেমেন্টারি পর্দা স্তন্যগ্রন্থি প্রভৃতি স্থানে এই কলা থাকে। চৰিকলা খাদ্যের সঞ্চয় ভান্ডার হিসাবে বিপাকীয় লিপিডের উৎস হিসাবে এবং দেহের তাপ বিমোচনে অংশ নেয়।
(iv) নিয়মিঙ যোজককলা :
বৈশিষ্ট্যসমূহ : এই কলায় অতিমাত্রায় কোলাজেন তন্ত্র এবং স্বল্প মাত্রায় ইলাস্টিন থাকে।
* তন্ত্রর সাথে ফাইব্রোব্লাস্ট সংযুক্ত থাকতে দেখা যায়।
লিগামেন্ট বা টেনডন এ ধরনের কলা দ্বারা গঠিত হয় এবং এই কলা অস্থি সন্ধিসমূহকে দৃঢ় ও সচল রাখে। 

কঙ্কাল যোজক কলা : 

অর্থ কঠিন বা কঠিন মাতৃকাবিশিষ্ট যে কলা দেহ কঙ্কাল গঠনসহ দেহের কাঠামো তৈরি ও দৃঢ়তা দানে নিয়োজিত থাকে, তাকে কঙ্কাল যোজক কলা বলে। কঙ্কাল যোজককলা দুই প্রকার। এরা হলো :
(i) তরুণাস্থি বা কোমলাস্থি কোষ এবং মাতৃকার সমন্বয়ে গঠিত কঙ্কাল যোজককলাকে তরুণাস্থি বা কোমলাস্থি বলে। মাতৃকার মধ্যে ক্ষুদ্রাকৃতির ল্যাকুনা (বহুবচনে ল্যাকুনি) নামক স্থানে কোষগুলো অবস্থান করে। ল্যাকুনি তরল পদার্থে পূর্ণ থাকে এবং তদ্ভময় পেরিকন্ড্রিয়াম আবরণীতে আবৃত থাকে। তরুণাস্থির কোষগুলোকে কন্ট্রোসাইটস বলে। তরুণাস্থির মাতৃকা অর্ধকঠিন এবং কোলাজেন ও ইলাস্টিন তন্তু সমন্বিত।
(ii) কঠিনাস্থি : কঠিনান্থি বা অস্থি কঠিনতম যোজককলা। তিন ধরনের অস্থি কোষ এবং মাতৃকা দ্বারা কঠিনাস্থি গঠিত হয়। অস্থি কোষগুলো হলো- অস্টিওয়াস্ট, অস্টিওসাইট এবং অস্টিওক্ল্যাস্ট। কঠিনাস্থির মাতৃকা ৬০% অজৈব এবং ৪০% জৈব উপাদানে গঠিত হয়।

(গ) করণ যোজক কলা রক্ত এবং লসিকার সমন্বয়ে গঠিত হয় তরল যোজক কলা। যে যোজক কলার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় উপাদানসমূহ প্রাণিদেহের অভ্যন্তরে পরিবাহিত হয়, তাকে তরল যোজক বলা হয়। নিম্নে রক্ত ও লাসিকার উল্লেখ করা হলো :
(i) রক্ত : তরল যোজক কলা হিসাবে রক্তের গাঠনিক উপাদান হলো রক্ত কণিকা বা রক্ত কোষ এবং মাতৃকা বা রক্তরস। রক্তরসে ৩ ধরনের রক্তকণিকা ভাসমান অবস্থায় থাকে। এরা হল লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা। লোহিত রক্ত ঋণিকা O, ও CO, পরিবহনে, শ্বেতরক্তকণিকা দেহের রোগপ্রতিরোধে এবং অনুচক্রিকা রক্ত জমাটবদ্ধ করনে অংশ নেয়।
(ii) লসিকা : প্রাণিদেহের লসিকানালি এবং আন্তঃকোষীয় স্থানে অবস্থানকারী হালকা হলুদ বর্ণের তরল যোজককলার নাম লসিকা। ললিকায় ৯৪% পানি এবং অবশিষ্টাংশে খাদ্য সারাংশ ও লির্ভকোনাইটসহ অন্যান্য পদার্থ থাকে। রক্ত এবং কোষের সংযোগ মাধ্যম হিসাবে লসিকা কাজ করে।

Question- What is connectivity? Describe the features, functions and types of conjugation.

Conjunctivitis: The connective tissue that connects different parts of the animal body or different parts of the same organ is called connective tissue. Such as- blood, bones, cartilage, white matter, fat tissue etc. 

Features:
(i) The arrangement of the collar cells is irregular, that is, the cells are not arranged at a certain level.
(ii) The connective tissue originates from the embryonic mesoderm layer.
(ii) The number of collar cells is very low.
(iv) Cells are not densely packed and there is a lot of matrix in the cells. (v) The connective tissue consists of a combination of different types of cells, fibrous matter and fibers.

Work:
(i) They connect the different tissues and organs of the body.
(iii) The skeletal system made of connective tissue forms the structure of the animal body. Carries body weight, holds muscles and various Helps in movement and storage.
(iii) Fluid connective tissue or blood performs important functions including transporting various substances inside the body.
(iv) They produce blood cells.
(v) These bananas play an important role in storing and controlling body heat by storing fat, calcium and phosphorus in the body.
(vi) Protects the body from various harmful substances and germs entering the body.
(vii) Participates in healing wounds of the body.
Types of Connections Conjunctions are divided into three categories based on structure and function. These are described below
Types of Connective Tissue

Actual or general connectivity:

The matrix of the actual or common connective tissue is composed of systemic elements or base substances. Repeat the actual or general connectivity
The structure is divided into 4 parts based on the differences in the material. These are:
(i) Loose or areolar connective tissue:
Features: * Contains randomly arranged collagen and elastin systems.
* The base material is semi-liquid in nature and reticulate.
This tissue acts as a connector between the submucous lining of the alimentary canal, the muscles, the esophagus, and the nerves. They act as connectors for different tissues and for the functioning of different tissues and organs.
(ii) Intensive irregular connective tissue:
Characteristics + A large number of clustered systems are irregularly located in the matrix. * The number of active fibroblasts in this tissue is low.
It is found in the lining of muscles, nerves, various organs and glands. This protects the banana or organ from mechanical stress. 
(iii) Jadipose or fat banana:
Characteristics:: This tissue is made up of adipocyte cells * Fat deposits in the center of adipocyte.
Under the skin, the placenta, the placenta, the placenta, the placenta. Charikala is a source of metabolic lipids as food storage
As and participates in the release of body heat.
(iv) Regulating connectivity:
Characteristics: This tissue contains high levels of collagen and low levels of elastin.
* Fibroblasts are seen to be attached to the system.
The ligament or tendon is made up of such tissues and these tissues keep the bone joints strong and active. 

Skeletal connective tissue

Meaning hard or hard matriarchal tissue that is engaged in building and strengthening the body structure including skeletal structure, is called skeletal connective tissue. There are two types of skeletal connective tissue. These are:
(i) Cartilage or cartilage is a combination of cartilage and cartilage. The cells are located in a place called small lacuna (plural lacunae) in the mother. The lacunae are full of fluid and are covered in the perforated perichondrium. Cartilage cells are called contraceptives. The cartilage matrix is ​​semi-rigid and contains collagen and elastin fibers.
(ii) Hard bone: The hardest joint or bone is the hardest connective tissue. The hard bone is made up of three types of bone cells and matrix. Bone cells are osteocysts, osteocytes and osteoclasts. The bone marrow is composed of 60% inorganic and 40% organic matter.

(C) Liquid connective tissue is a combination of blood and lymph. The connective tissue through which the necessary and unnecessary elements are transported inside the animal body is called the fluid connective tissue. Blood and lymph nodes are mentioned below:
(i) Blood: As a connective tissue, the structural components of blood are blood cells or blood cells and maternal or plasma. There are 3 types of blood cells floating in the plasma. These are red blood cells, white blood cells and microglia. Red blood cells O, and CO, are involved in transport, leukocytes, immune system, and microbial blood clotting.
(ii) Lymph: Lymph is a light yellow liquid connective tissue located in the lymphatic vessels and intercellular space of the animal body. The lilac contains 94% water and the rest contains food extract and other substances including liverconite. Lymph acts as a connecting medium between blood and cells.
Next Post Previous Post
2 Comments
  • Michael Phillips
    Michael Phillips May 7, 2022 at 10:19 PM

    ভালো লিখা, অনেক হেল্পফুল

  • Probin Rama
    Probin Rama July 8, 2022 at 11:02 PM

    khub sundor articles, one valo laglo. asha kori chatroder jonno onek upokar hobe.

Add Comment
comment url