Heterospory কী? Selaginella-এর বীজস্বভাব

Heterospory কী? Selaginella-এর বীজস্বভাব আলোচনা কর

বীজস্বভাব কী? Selaginella-এর বীজস্বভাব সম্পর্কে আলোচনা কর। 

Selaginella-এর বীজস্বভাব সম্বন্ধে আলোচনা কর।
অসমরেণুপ্রসূত বলতে কী বুঝ? অথবা Heterospory বলতে কী বুঝ?

অসমরেণুপ্রসূ (Heterosporous)

যে সমস্ত উদ্ভিদ তাদের জীবনচক্র সম্পাদন করার জন্য দু' ধরনের স্পোর উৎপন্ন করে। এবং এই দু' প্রকার স্পোর থেকে দু' ধরনের গ্যামেটাফাইট তৈরি করে সে সকল উদ্ভিদগুলো অসমরেণু (Heterosporous) উদ্ভিদ বলে। এ দুই ধরনের স্পোর তৈরির করার স্বভাবকে অসমরেণুপ্রসূতা বলে। Selaginella'র জীবনচক্র পর্যালোচনা করলে দেখা যায়। যে, এরা দু ধরনের রেণু তৈরি করে থাকে। পুংরেণুপত্রের কক্ষে একটিমাত্র পুংরেণুস্থলী (microsporangium) এবং স্ত্রীরেণপত্রের কক্ষে একটিমাত্র স্ত্রীরেণুস্থলী (megasporangium) বর্তমান থাকে।
টেরিডোফাইটের মাত্র আটটি গণে হেটেরোস্পোরী ঘটতে দেখা যায়। এই আটটি গণ হল : Azolla, Isoetes, Marsilea, Salvinia, Pilularia, Regnellidium, Stylites এবং Selaginella টেরিডোফাইটার

বীজস্বভাব :

হেটেরোস্পোরীকে বীজ সৃষ্টির প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে মনে করা হয়। হেটেরোস্পোরি ছাড়াও সবীজ উদ্ভিদগুলোতে বীজ ধারণ করার জন্য নিম্নলিলিখত বৈশিষ্ট্যগুলো দেখা যায় :
  • উদ্ভিদ অসমরেণুপ্রসূ।
  • পুং গ্যামেটোফাইট আকার ও আয়তনে ক্ষুদ্র।
  • মেগাস্পোরাঞ্জিয়াম একটি অতিরিক্ত আবরণ দ্বারা আবৃত থাকে, যাকে ডিম্বকত্বক বলে ।
  • মেগাস্পোরাঞ্জিয়াম বা ভ্রূণ পোষক টিস্যুতে ১টি মাত্র মেগাস্পোর সৃষ্টি মেগাস্পোর কখনো মেগাস্পোরাঞ্জিয়াম হতে বাইরে চলে আসে না।
  • নিষেকের পর জাইগোটটি ভ্রূণে ও সদ্য নিউক্লিয়াস থেকে সস্য বা এন্ডোস্পার্ম পরিণত হয়।
  • ডিম্বকত্বক বীজত্বকে এবং ডিম্বকটি বীজে পরিণত হয়।
উপরে উল্লিখিত স্বভাবগুলোর মধ্যে Selaginella-তে বীজ ধারণের জন্য নিম্নলিখিত স্বভাবগুলো পরিলক্ষিত হয় :
  • Selaginella অসমরেণুপ্রসূ মেগাস্পোর মেগাস্পোরাঞ্জিয়ামের মধ্যে থাকা অবস্থায় অঙ্কুরোদগম শুরু হয়।
  • Selaginella repestris, S. monospora-র প্রতিটি মেগাস্পোরাঞ্জিয়ামের ভিতরে মাত্র ১টি মেগাস্পোর উৎপন্ন হয়।
  • মাইক্রোস্পোর বা পরাগরেণু গ্রহণ ও ধারণের জন্য মেগাস্পোরাঞ্জিয়ামের শীর্ষ অঞ্চলের বিস্তৃতি।
  • ভ্রূণের বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের প্রাপ্যতা।

উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলো বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, Selaginella-তে বীজস্বভাবের অনেকটা অগ্রগতি ঘটলেও প্রকৃত বীজস্বভাব অর্জিত হয়নি। যেসব কারণে Selaginelea-তে প্রকৃত বীজ গঠিত হয়নি সেগুলো হলো

  • মেগাস্পোরাঞ্জিয়ামের বাইরে ডিম্বকত্বকের মত অতিরিক্ত কোন আবরণ থাকে না।
  • মেগাস্পোরাঞ্জিয়ামের ভিতরে মেগাস্পোর স্থায়ীভাবে অবস্থান না করা।
  • ভ্রূণ গঠনের পর বিশ্রাম দশা না থাকা।
  • পোলেন টিউব গঠিত না হওয়া।
  • দ্বি-নিষেক প্রক্রিয়া অনুপস্থিত থাকা।
  • সব প্রজাতিতে একক মেগাস্পোর উৎপন্ন না হওয়া।

উপরে উল্লিখিত বৈশিষ্ট্যগুলো Selaginella-তে পরিলক্ষিত হয় না বলে এদের প্রকৃত বীজ গঠিত হয় না। তবে বীজের কিছুটা স্বভাব Selaginella-তে পরিলক্ষিত হওয়ায় একে কোয়াসী বীজস্বভাব (Quasi seed habit) বলা হয়ে থাকে।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url